Tuesday, November 7, 2017

মেয়েদের বিয়ের পর ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান করুন।

বিয়ের পর ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান


বিয়ের পর অনেক মেয়েরই ওজন বেড়ে যায়। এটা একটা প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের পর সাধারণত মেয়েদের ওজন বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বাড়ে। ছাড়া বিয়ের পরপরই হয়তো মেয়েরা নিজের দিকে তাকানোর সময় কম পায়। এবং ব্যায়ামের জন্যও সময় কম দেয়। তবে কিছু পরামর্শ মেনে চললে বিয়ের পর এই ওজনাধিক্যের সমস্যা কিছুটা কমানো সম্ভব। লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই বাতলে দিয়েছে বিষয়ে কিছু পরামর্শ।

ভাত এড়িয়ে চলুন
ভাত হচ্ছে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। বিশেষত যখন আপনি কায়িক শ্রম করছেন না তখন। এর বদলে আপনি হাতে তৈরি রুটি, সয়া, সিদ্ধ মটরশুটি, ছোলা ইত্যাদি খেতে পারেন। 

গমের পাউরুটি, ওটমিল সিদ্ধ আলু
পরিশোধিত এবং দ্রুত শর্করা, যেমন, সাদা রুটির পরিবর্তে জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন গমের রুটি, ওটমিল বা বাদামি ভাত এসব খান। এর মধ্যে আছে আঁশ, যা ভরা পেটের অনুভূতি দিয়ে আপনাকে ঠান্ডা রাখবে। এই পদ্ধতি আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ওমেগা- ফ্যাটি এসিড
আপনার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই স্বাস্থ্যকর চর্বি রাখবেন। জন্য ওমেগা- ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ খাবার খান। যেমনটুনামাছ, কাঠবাদাম, জলপাইয়ের তেল, ফ্লেক্সিড তেল ইত্যাদি। এটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে। 

জাংক ফুড বাদ দিন
জাংক ফুড বা ফাস্ট ফুডজাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। ধরনের খাবার শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এটা পরিপাকক্ষমতা কমায়। এর মধ্যে রয়েছে বাজে চর্বি, যা ওজন বাড়ায়। এটা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো ওজন নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি।   

বেশি খাবার বাদ দিন
প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে হাড়ের ক্যালসিয়াম নষ্ট হয়ে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এটা ওজন বাড়িয়ে দেয়। লাল মাংসের (গরু, খাসি) পরিবর্তে লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, শিম, বাদাম, শাকসবজি খান।   

কফি পান কমিয়ে দিন
কফি বেশি পান করলে ওজন বেড়ে যায় এবং কফি হাড়ের স্বাস্থ্য খারাপ করে দিতে পারে। বেশি কফি পান করলে খাদ্যের পুষ্টি শরীর গ্রহণ করতে পারে না। এটা হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। 

সকালের নাশতা বাদ দেবেন না
সকালের নাশতা কখনোই বাদ দেবেন না। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া মানে সারা দিনের জন্য পরিপাককে ধীরগতির করে ফেলা। 

আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন : পুঁইশাক, কচু, লতি ইত্যাদি। এটা ওজন কমানোর একটি গোপন উপায়।

ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার
খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার রাখতে কখনো ভুলবেন না। আপনি যখন ওজন কমাতে চাইবেন তখন দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, মাছ ইত্যাদি খান।

উদ্ভিদজাতীয় খাবার খান
শাকসবজি বেশি করে খান। খাবার আগে ফল সবজি খেয়ে নিন। অল্প অল্প করে দিনে অন্তত ছয়বার খাবার খান। 

নিজেকে প্ররোচিত করুন
আপনি যদি বিয়ের আগের ছবিগুলো দেখেন, তবে নিজের বর্তমান অবস্থা দেখে আফসোস লাগতে পারে। এটা আপনাকে ফল, শাকসবজি খাওয়া এবং ব্যায়াম করার দিকেও ধাবিত করতে পারে।

গর্ভকালীন সাধারণ সমস্যা


মা হওয়ার সময় একটি মেয়ের শরীর মনে ঘটে নানা স্বাভাবিক পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া। প্রায় প্রতিটি মেয়েরই এমন কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, যা সহজে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চাই কিছু বাড়তি যত্ন। চলুন জেনে নিই এমন পাঁচটি পরিচিত সমস্যার কথা।
সকালে

সকালবেলা বিছানা ছাড়ার পরই প্রচণ্ড বমি ভাব, বমি, মাথা ঘোরাএই উপসর্গের নাম মর্নিং সিকনেস। প্রথম সন্তান ধারণের সময় এটি বেশি হয় এবং দেখা দেয় প্রথম দ্বিতীয় মাসেই, তিন মাসের পর সাধারণত সেরে যায়। ২৫ শতাংশ নারীর এই সমস্যা একেবারে নাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় রক্তে কিছু হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই এর কারণ।

মর্নিং সিকনেস থেকে রক্ষার উপায়

. সকালে একবারে বেশি কিছু না খেয়ে অল্প অল্প করে শুকনো খাবার, যেমন টোস্ট বিস্কুট আমিষসমৃদ্ধ খাবার খান।
. তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, যে খাবার দেখলে বা খেলে বমির উদ্রেক হয় তাও এড়িয়ে চলুন।
. চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে পারেন।
. অতিরিক্ত বমি হলে বা পানিশূন্যতা বা লবণশূন্যতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

পায়ে পানি আসা

গর্ভাবস্থায় পায়ে অল্প পানি জমাটা স্বাভাবিক। জন্য আতঙ্কিত হওয়ার বা চিকিৎসা নেওয়ারও কিছু নেই।
. বেশিক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকবেন না, পায়ের নিচে মোড়া বা টুল দিন।
. খাবারে অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন।
. বিশ্রাম বা ঘুমের সময় পায়ের নিচে বালিশ দিতে পারেন।
. পা অনেক বেশি ফুলে গেলে, যদি দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে, মাথা ব্যথা হয় বা রক্তচাপ বেড়ে যায় তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

কোমর ব্যথা

৫০ শতাংশ মেয়ে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়। ওজন বৃদ্ধি অস্থিসন্ধির শিথিলতা এর জন্য দায়ী। তবে উঁচু হিলের জুতা পরা, প্রস্রাবে সংক্রমণ বা কোষ্ঠকাঠিন্যও এর কারণ হতে পারে। পা উঁচু করে বিশ্রাম নিলে কিছুটা আরাম পাবেন। সঠিক ভঙ্গিতে শোয়া বা বসা, শক্ত বিছানা ব্যবহার করা, কোমরে মালিশ বা সেঁক এবং বেশি ব্যথা হলে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন।

ঘন ঘন প্রস্রাব

থেকে ১২ সপ্তাহে এই বিরক্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। জরায়ুর আকার বড় হওয়ার কারণে মূত্রথলিতে চাপ দেয় বলে এমন ঘটে। ১২ সপ্তাহের পর সেরে গেলেও শেষ দিকে শিশুর মাথা নিচে নামতে শুরু করলে মূত্রথলিতে চাপ দিলে আবার দেখা দেয়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা তলপেটে ব্যথা না থাকলে নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

পেট শক্ত হয়ে আসা


মাঝেমধ্যে পেশির সংকোচনের জন্য পেট শক্ত হয়ে আসে। সাধারণত ব্যথা থাকে না এবং একটু পর নিজেই চলে যায়। তবে ব্যথা যদি থাকে তীব্রতা বাড়তে থাকে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রস্রাবে সংক্রমণ থাকলে চিকিৎসা করুন।

My Blog List

Followers

About

Herbal for safe better-health

Right medicine, right food makes happy life

Popular Posts

Blog Archive

Traffic

Flag Counter