Monday, October 9, 2017

Ear to Head


মাথা ঘোরা আসলে কী

যে সকল সাধারণ উপসর্গ নিয়ে রোগীরা ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়, মাথাঘোরা তার মধ্যে একটি অন্যতম উপসর্গ। এই মাথা ঘোরা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। শরীরের ভারসাম্যহীনতা, পড়ে পাওয়া, মুচ্ছা যাবে বলে মনে হওয়া, মস্তিষ্কে শুন্যতা, মাথায় ঘুর্নীর মত হওয়া বা পারিপার্শ্বিক পৃথিবী ঘুরছে মনে হওয়া। ইংরেজিতে এ গুলোকে Dizziness বলে। কেউ যখন বলে যে, সে নিজে ঘুরছে বা পারিপার্শ্বিক পৃথিবীটা ঘুরছে সেটাকে blackout বলে। আর এই ধরণের মাথা ঘোরা সাধারণত: কান তথা অন্তকর্ণের জন্যই হয়ে থাকে।

কান সম্পর্কে দুটি কথা

অন্তকর্ণ এর দুটি অংশ। সামনের অংশকে বলে ককলিয়া যা শ্রবণশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পিছনের অংশকে বলে ভেস্টিবিউল যা মাথার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। অন্তকর্ণের ঝিল্লির মধ্যে তরল পদার্থ ও অতি সুক্ষ চুল সাদৃশ্য সংবেদনশীল অঙ্গ থাকে যা মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট স্থানে মাথার অবস্থান সম্পর্কে সংকেত পাঠায়।

শরীর ও মাথার নিয়ন্ত্রণ

মস্তিষ্কের বিশেষ অংশ যেমন-সেরিবেলাম, সেরিব্রাম, ব্রেইনস্টেম, শরীর ও মাথার ভারসাম্যতা এবং অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করে। চামড়া,মাংসপেশী, হাড় জোড়া ও চক্ষু, শরীরের অবস্থান সম্পর্কে সংকেত পাঠায় মস্তিষ্কের ঠিকানায়। এগুলোর কোনোটাতেই স্বাভাবিক কার্য প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটলে বিভিন্ন তীব্রতায় মাথাঘোরা রোগ হয়ে থাকে।

উপসর্গ

মস্তিষ্ক, চামড়া, মাংসপেশী, হাড় জোড়া এবং চক্ষুর কোন রোগ হলে শরীরের ভারসাম্যহীনতা, মস্তিষ্কে শুন্যতা, সংজ্ঞাহীনতা, হাল্কা ঘুনী হয়ে থাকে সঙ্গে বমি বমি ভাব, বমি, নিস্টেগামস হয়ে থাকতে পারে। অন্তকর্ণের কোন রোগ হলে মূলত: তীব্র ঘুর্নী হয়ে থাকে সঙ্গে বমি ভাব, বমি, নিস্টেগমাস, ভারসাম্য হীনতা ও শ্রবন শক্তি কম হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে। কিছু অতি সাধারণ অন্তকর্ণের রোগ যা মাথা ঘোরা সৃষ্টি করে। বিনাইন প্যারঅক্সিস্মাল পজিশনাল ভাইটাইগো এটি একটি অতি সাধারণ উপসর্গ। হঠাত্ করে মাথা কোনো নির্দিষ্ট অবস্থানে নিলে মাথা ঘোরা শুরু হয়। সাধারণত শোবার সময় মাথা এদিক ওদিক করলে, নামাজ পড়লে বা মাথা হেলিয়ে কোন কাজ করলে এই জাতীয় মাথা ঘোরা শুরু হয়। বয়সজনিত কারণে, মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হলে অন্তকর্ণের ঝিল্লির ভিতরের তরল পদার্থের কিছু পরিবর্তনে এই রোগ হয়। সুখের বিষয় এই যে, এই ধরণের blackout বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না এবং ধীরে ধীরে সেরে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর চিকিত্সা প্রয়োজন হয়।

মিনিয়ার্স ডিজিজ

এই রোগে হঠাত্ করে মাথা ঘোরা শুরু হয়, সাথে বমি ভাব, বমি, ভারসাম্যহীনতা, শ্রবণ শক্তি সাময়িক কমে যাওয়া, নিস্টেগমাস থাকতে পারে। এর স্থায়ীত্ব হয় কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক দিন। অন্তকর্ণের ঝিল্লির কারণেই এই রোগ হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওষুধের সাহায্যে চিকিত্সা করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রপ্রচার এর প্রয়োজন হতে পারে।

ভেস্টিবিউলার নিউরোনাইটিস

ভাইরাসজনিত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। নিকট অতিত অথবা বর্তমানে ফ্লু হয়ে থাকতে পারে। এই রোগের মাথা ঘোরার স্থায়িত্ব সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। পূর্ণ বিশ্রাম সাথে কিছু ওষুধ এর একমাত্র চিকিত্সা।

ল্যাবিরিনাথাইটিস

অন্তঃকর্ণে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া জনিত প্রদাহ হলে এই রোগ হয়। কানে কম শুনতে পাওয়া, বমি, বমি ভাব, চোখের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, ভারসাম্যহীন থাকা স্বাভাবিক। অনেক সময় ল্যাবিরিনাথাইটিস-এর আশে পাশে কোন প্রদাহ হলে মাথা ঘোরা হয়ে থাকে। একে সেরাস ল্যাবিরিনথাইটিস বলে।

একুইস্টিক নিউরোমা

কানের ভেতরের সুড়ঙ্গ পথে ক্যানাল বা সিপি এ্যানজেল-এ এধরনের টিউমার হতে পারে। তবে এতে শুধু একদিকের শ্রবণ শক্তি কমে যায়। কেবলমাত্র অস্ত্রপ্রচার এর সাহায্যে এর  চিকিত্সা করা হয়ে থাকে।

অন্যান্য কারণ

কানের আরো কিছু সাধারণ কারণে মাথা ঘোরা রোগ হয়। যেমন মধ্যকর্ণে প্রদাহ, ইউস্টাশিয়ান টিউবের বন্ধ থাকা বা প্লেনে ভ্রমণে বেরো ট্রমা হওয়া, কানে শক্ত খৈল কানের পর্দায় চাপ প্রয়োগ করলে মাথা ঘোরা রোগ হতে পারে।

কান ছাড়া অন্য যে সব কারণে মাথা ঘোরা রোগ হতে পারে

১. মস্তিষ্কের বিশেষ জায়গায় রক্তের সঞ্চালন কম হওয়া, রক্তক্ষরণ হওয়া, মস্তিষ্কের টিউমার কিংবা মাল্টিপাল স্ক্রোরোসিস হলে।

২. রক্ত স্বল্পতা, রক্তচাপ হঠাত্ কমে গেলে

৩. উপর থেকে নিচে তাকালে

৪. মাইগ্রেন হলে

শেষ কথা

মাথা ঘোরা রোগ অনেক কারণেই হতে পারে। এর জন্য পরিপূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার প্রয়োজন, বিশেষ করে তীব্র ঘুর্নী বা vertigoহলে অবশ্যই কোনো নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত্। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা ঠিক হবে না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হবার আশঙ্কা থেকে যায়।
Neck Muscles of human body


নাক কান ও গলা শরীরের এই তিনটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। সাধারণ হাঁচি-সর্দি থেকে শুরু করে গলার ক্যান্সার সবই রয়েছে এই তালিকায়। স্ঁল্পপরিসরে সেইসব রোগের কয়েকটি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হল।

টনসিলের ইনফেকশনঃ
 সবচেয়ে পরিচিত এই টনসিলের সমস্যা। এটি মূলত শিশুদের সমস্যা। বড়দেরও হয়। টনসিলের সমস্যায় গলাব্যথা, খেতে গেলে ব্যথা, সামান্য জ্বর ইত্যাদি থাকে। প্রথমত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বারবার হতে থাকলে সম্যক জটিলতা ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে টনসিল অপারেশন করিয়ে নিতে হয়। সারা পৃথিবীতে শিশুদের যত অপারেশন হয় তারমধ্যে টনসিল অপারেশনের অবস্থান সবার শীর্ষে।

এডিনয়েড বড় হওয়াঃ
এটি শিশুদের রোগ। নাকের ছিদ্রের পিছন দিকে যে অঞ্চলটি রয়েছে সেখানে এই এডিনয়েড নামক লসিকা গ্রন্থির অবস্থান। এটি অনেক সময় বড় হয়ে নাক আংশিক বন্ধ করে দেয়ে ফলে নাক দিয়ে অধিকাংশ সময়েই সর্দি ঝরে। কানের সাথে নাকের পিছনের অংশের যোগাযোগরক্ষাকারী টিউবটির মুখও আংশিকভাবে বন্ধ থাকে। ফলে কানও বন্ধ থাকে। কানের মধ্যে পানির মত তরল জমে কান ব্যথা করে। এডিনয়েড বড় হলে শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাসবন্ধ হয়ে জেগে ওঠে। রোগীর চেহোরা ক্রমশ হাবাগোবা হয়ে পড়ে। অনেক অভিভাবকই এ সমস্যাটির ফলে সৃষ্ট ক্ষতি অনুধাবন করেন না। ফলে শিশুর অনেক ক্ষতি হয়। অপারেশনই হচ্ছে এর একমাত্র চিকিৎসা।

ভোকাল কর্ডে পলিপঃ
 এটি শ্বাসতন্ত্রের অর্-গত সমস্যা। গলায় স্ঁর তৈরির স্থানটি হচ্ছে ল্যারিংস। সেখানেই থাকে ভোকাল কর্ড। কর্ড দুটির কাঁপুনিতেই সৃষ্টি হয় শব্দ। ভোকাল কর্ড বেশি ব্যবহৃত হলে এবং ল্যারিংসে ইনফেকশন হলে গলার স্ঁর ভেঙ্গে যায়। স্ঁরভঙ্গের প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে ৭-১০দিন কথা বলা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেয়া। স্ঁরের পরিমিত বিশ্রামের অভাবে গলা ভাঙ্গলে ভোকাল কর্ডে দানার মতো দেখা দেয়। যাকে বলা হয় ভোকাল কর্ড। স্ঁর ব্যবহারকারী যেমন- সঙ্গীত শিল্পী , শিক্ষক এদের ভোকালকর্ডে পলিপ বেশি দেখা দেয়। পলিপ হলে চিকিৎসা অপারেশন। গলায় ক্যান্সারঃ এ ক্ষেত্রে ল্যারিংসের ক্যান্সারকেই বোঝানো হয়েছে। খাদ্যনালীর ক্যান্সারকেও গলায় ক্যান্সার বলা যেতে পারে। ল্যারিংসের ক্যান্সার বলতে শ্বাসতন্ত্রের যেখানে থেকে স্ঁর তৈরি হয় সে অঞ্চলের ক্যান্সারকে বোঝায়। আর খাদ্যনালীর ক্যান্সার বলতে বোঝায় খাদ্যনালীর উপরের অংশের ক্যান্সারকে বোঝানো হয়। ল্যারিংসের ক্যান্সার হলে তাই গলার স্ঁর পরিবর্তন হয়ে যায়, সমস্যা তীব্র হয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করার উপক্রম হলে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। অন্যদিকে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের সমস্যা শুরু হয় গলায় ব্যথা ও খেতে অসুবিধা হওয়ার মধ্য দিয়ে। সমস্যা তীব্র হলে খাদ্যনালী বন্ধের উপক্রম হলে রোগী কিছুই খেতে পারে না। অবস্থাভেদে এর চিকিৎসা- অপারেশন, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি।


নেবুলাইজার হলো এক ধরনের মেশিন, যা কোনো তরল ওষুধকে বাতাস বা অক্সিজেনের সাহায্যে এক প্রকার বাষ্পে পরিবর্তন করে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম নেবুলাইজার মেশিন পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু প্রায় সব মেশিনে ৪টি অংশ আছে।

নেবুলাইজার ইউনিটঃ
 এটি একটি ছোট পাত্র, যা তরল ওষুধ দ্বারা ভর্তি করা হয়। বাতাস অথবা অক্সিজেন এ পাত্রের ভেতর প্রবাহিত হয় ও তরল ওষুধকে বাষ্পাকারে পরিবর্তন করে। পাত্রে রক্ষিত ওষুধ বাষ্পে পরিণত হতে কয়েক মিনিট সময় লাগে।

উচ্চ চাপযুক্ত বাতাস বা অক্সিজেনের উৎসঃ
 ইংল্যান্ডে হাসপাতাল বা স্বাস্হ্যকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের মতো কেন্দ্রীয় নেবুলাইজারের ব্যবস্হা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে বাসায় বা হাসপাতালে ছোট ইলেকট্রিক মোটর পাম্প উচ্চ চাপযুক্ত বাতাসের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ মোটর পাম্প বিদ্যুৎ ছাড়াও গাড়ির ব্যাটারি, রিচার্জেবল ব্যাটারি ইত্যাদি দ্বারা চালানো যায়। কতগুলো নেবুলাইজার মেশিনে হাত অথবা পাচালিত পাম্পের ব্যবস্হা আছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে বা ভ্রমণের সময় এ ধরনের নেবুলাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

মাউথপিস অথবা মাস্কঃ
এটি নেবুলাইজার ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে ওষুদের বাষ্প শ্বাসে নেয়া যায়।
তরল ওষুধঃ এ ওষুধ নেবুলাইজার ইউনিটের ভেতরে দেয়া হয়। প্রয়োজনে এ ওষুধের সঙ্গে নরমাল স্যালাইন মিশিয়ে ঘনত্ব কমিয়ে ব্যবহার করা হয়।

কখন নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়ঃ
 সব সাধারণ চিকিৎসকের চেম্বারে, সব হাসপাতালে এবং কিছু কিছু অ্যাম্বুলেসে মারাত্মক জটিল হাঁপানির চিকিৎসার জন্য নেবুলাইজার মেশিন থাকা প্রয়োজন। সাববিউটামল জাতীয় উপশমকারী ইনহেলারের (যেমনঃ ভেনটোলিন ইনহেলার) চেয়ে নেবুলাইজারের মাধ্যমে উপশমকারী ওষুধ ব্যবহার করলে জরুরি ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। কারণ এ মেশিনের মাধ্যমে অধিকমাত্রায় এক সঙ্গে শ্বাসে ওষুধ নেয়া যায়। ডাক্তার কোনো সময় প্রয়োজন মনে করলে তার নিজস্ব নেবুলাইজার কোনো রোগীর ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত আক্রান্ত অবস্হা নিয়ন্ত্রণের জন্য সাময়িকভাবে ব্যবহারের ব্যবস্হা করে দিতে পারেন।

কঠিন অ্যাজমা আক্রমণের সময় ও জরুরি অবস্হায় নেবুলাইজারের বদলে স্পেসারের মাধ্যমে উপশমকারীর ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষত, বাসায় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ রকম ব্যবহার নেবুলাইজারের মতোই কার্যকরী।

স্হায়ী পুরাতন হাঁপানি চিকিৎসার জন্যঃ কিছু কিছু স্হায়ী পুরাতন হাঁপানি রোগীর ক্ষেত্রে উপশমকারী ইনহেলার কোনো উপকারই করে না। এমনকি বাধাদানকারী ইনহেলারও তার শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। এসব রোগীর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অধিকমাত্রায় উপশমকারী ওষুধ ব্যবহার করা। আর তা সম্ভব শুধু নেবুলাইজার দ্বারা। অধিকমাত্রায় বাধাদানকারী ওষুধ শ্বাসে নেয়ার জন্য নেবুলাইজার অপরিহার্য।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাধাদানকারী ওষুধ ব্যবহারের জন্যঃ কখনো কখনো ৫ বছরের নিচের বাচ্চাকে নেবুলাইজারের মাধ্যমে বাধাদানকারী ওষুধ শ্বাসে দেয়া হয়ে থাকে। অবশ্যই ২ বছরের নিচের শিশুর জন্য মাস্কসহ স্পেসার নেবুলাইজারের চেয়ে ভালো। ২ বছরের ওপরের বাচ্চাও স্পেসার ব্যবহার করতে পারে। স্পেসারের মাধ্যমে ইনহেলার যখন-তখন ব্যবহার করা যায় এবং এটি সহজে বহনযোগ্য।

বেশির ভাগ তরল ওষুধ বাজারে একক মাত্রার নেবিউল হিসেবে পাওয়া যায়। কিছু ওষধু নরমাল স্যালাইন নামক লবণাক্ত পানির সঙ্গে মিশ্রিত করতে হয়। মনে রাখবেন, ট্যাপের পানি, ডিষ্টিলওয়াটার, বোতলের পানি বা কোনো সাধারণ পানির সঙ্গে এ ওষুধ কখনোই মিশাবেন না।
আদর্শ পরিমাণ হলো ওষুধ ও নরমাল স্যালাইন মিশিয়ে মোট তরলের পরিমাণ হবে ৪ সিসি।
ঘরে নেবুলাইজারের ব্যবহারের কিছু নিয়মাবলীঃ হ আপনার ডাক্তারকে, নার্সকে অথবা বিক্রেতা কোম্পানির কাছে জিজ্ঞাসা করুন-কীভাবে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে হবে? কীভাবে নেবুলাইজারকে পরিষ্কার করতে হয়? কীভাবে মেরামত করা যায় এবং কীভাবে কাজ করে?
- আপনি ব্যবহৃত ওষুধ সম্পর্কে সবকিছু জানেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হোন। যেমনঃ কোন ওষুধ ব্যবহার করবেন? কী পরিমাণ ব্যবহার করবেন? কীভাবে নেবুলাইজার ইউনিটে ওষুধ দেবেন? এবং কখন এভাবে শ্বাসে ওষুধ নেবেন? আপনি নিশ্চিত হোন, আপনার ডাক্তার আপনাকে সবকিছু লিখে দিয়েছে।

- কখন মারাত্মক জটিল হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে, তা বুঝতে শিখুন। আপনাকে যদি ডাক্তার উপদেশ দিয়ে থাকেন তবে নেবুলাইজার ব্যবহার শুরু করুন। এজন্য নিজের রোগ নিজে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন তার পরিকল্পনা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।
- আপনি আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন, নেবুলাইজার একবার ব্যবহারের পর আপনার কী করণীয়-

আপনি আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন
অথবা নির্দিষ্ট সময় পরপর নেবুলাইজারের ওষুধ নিতে থাকবেন
অথবা ষ্টেরয়েড বড়ি শুরু করবেন।
এটি জানা খুবই জরুরি, নেবুলাইজারে উপশম না হলে বুঝতে হবে এ মুহুর্তে আপনাকে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে। দেরি করা জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।
ENT Problems


প্রথম বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয়েছিল ১৯৯৮ সালে, বিশ্বের ৩৫টি দেশে। সেই সঙ্গে প্রথম বিশ্ব হাঁপানি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্পেনের বার্সেলোনায়। এর পর থেকে এ দিবসটি আরও গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে পৃথিবীর নানা দেশে। একটি গুরুতর স্বাস্থ্যসমস্যা হিসেবে হাঁপানি রোগ বিশ্বজুড়ে বিবেচিত হয়ে আসছে। বায়ুপথের এই ক্রনিক রোগটি বিশ্বের নানা দেশের সব বয়সের মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রোগটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে দৈনন্দিন জীবন যাপনে আসে সীমাবদ্ধতা, অনেক সময় ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে রোগী।

হাঁপানি ক্রমেই বাড়ছে পৃথিবীতে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। রোগ যত বাড়ছে, স্বাস্থ্য-পরিচর্যার ব্যয়ও তত বাড়ছে; উৎপাদনশীলতাকেও এটি খর্ব করছে, বাড়ছে পরিবারের ভোগান্তি।

অথচ গত দুই দশকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন সব অগ্রগতি হয়েছে, এ রোগ সম্পর্কে অনেক বেশি জেনেছি আমরা, একে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার নতুন নতুন পথের সন্ধানও পাওয়া গেছে। তবে চিকিৎসাটি স্থানীয় পরিস্থিতি ও পরিবেশ-উপযোগী হওয়ার জন্য উদ্‌যোগ নেওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর্মী ও পেশাজীবী হাঁপানি চিকিৎসার উপায় এবং এর ব্যয় সম্পর্কে অবহিত হওয়া উচিত; কীভাবে এই ক্রনিক রোগ মোকাবিলা করা যায় কার্যকরভাবে, এও জানা উচিত। জনগণেরও হাঁপানি পরিচর্যা ও পরিষেবা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা উচিত। ১৯৯৩ সালে ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউট, আমেরিকা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে একটি কর্মশালা হয় এবং ‘পরবর্তী সময়ে হাঁপানি ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধ সম্বন্ধে বৈশ্বিক কৌশল’ নামে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল-হাঁপানি-ব্যবস্থাপনার একটি ব্যাপক পরিকল্পনা প্রণয়ন। লক্ষ্য হলো, ক্রনিক এই রোগের প্রকোপ হ্রাস এবং এ থেকে মৃত্যু কমিয়ে আনা; আর হাঁপানি রোগীরা যাতে একটি কর্মক্ষম পূর্ণ জীবন যাপন করতে পারেন, এর ব্যবস্থা করা। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা’ (জিআইএনএ), যারা প্রতিবছর বিশ্ব হাঁপানি দিবসের আয়োজন করে আসছে। জিআইএনএর সর্বশেষ যে গাইড লাইন ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল, এতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ বছর বিশ্ব হাঁপানি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়টি জিআইএনএর গাইড লাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হাঁপানি চিকিৎসার লক্ষ্য হলো ‘হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ’ ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক রোগীকে এর আওতায় আনা।

একজন রোগীর হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য যে সূচকগুলো জানা উচিত-
?? হাঁপানির উপসর্গ থাকে না বা থাকলেও অত্যন্ত মৃদু মাত্রায় থাকে।
?? হাঁপানির কারণে রাতে ঘুম থেকে উঠতে হয় না।
?? হাঁপানির জন্য ওষুধ লাগছে না বা লাগলেও খুব কম পরিমাণে লাগে।
?? স্বাভাবিক কাজকর্ম ও ব্যায়াম করার ক্ষমতা রয়েছে।
?? ফুসফুসের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করে (পিইএফ এবং এফইভি১) ফলাফল স্বাভাবিক বা প্রায় স্বাভাবিক পাওয়া গেছে।
?? হাঁপানির আক্রমণ ঘটার ঘটনা খুব কম।
?? হাঁপানি নিয়ন্ত্রণকে অর্জন করার এবং একে বজায় রাখার কৌশল ‘জিআইএনএ গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজি ফর অ্যাজমা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ কৌশলপত্রে বর্ণিত রয়েছে। এ কৌশলপত্রে চিকিৎসার চারটি পরস্পর সম্পর্কিত উপকরণের কথা বলা হয়েছে-
?? রোগী-চিকিৎসক সম্পর্ক ও অংশীদারি।
?? ঝুঁকি উপাদানগুলো চিহ্নিত করা এবং এর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা হ্রাস করা।
?? হাঁপানি নির্ণয়, চিকিৎসা ও তদারক করা।
?? হাঁপানির আক্রমণের ব্যবস্থাপনা।

এ কৌশল অবলম্বন করে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণ করা এবং একে বজায় রাখার জন্য চিকিৎসা করতে হয় ধাপে ধাপে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে না এলে ওষুধ বাড়াতে হয় এবং একবার তা নিয়ন্ত্রণে এলে এবং বেশ কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণটি বজায় থাকলে ওষুধ পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হয়।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নিজের হাঁপানি নিজেই নিয়ন্ত্রণ’ উৎসাহিত করে তুলবে দেশের সরকার, স্বাস্থ্য-পরিচর্যা পেশাজীবী, রোগী ও জনগণকে-নিজ নিজ দেশের স্বাস্থ্য-পরিচর্যাব্যবস্থার মধ্যে সবাই মিলে গড়ে তুলবে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা।

দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সচরাচর দৃষ্ট ক্রনিক রোগ হলো হাঁপানি। শিশুদের মধ্যে এটি বাড়ছে। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে এক থেকে ৩০ শতাংশের বেশি শিশুর রয়েছে হাঁপানি। তবে সৌভাগ্যবশত এর কার্যকর চিকিৎসা সম্ভব। বেশির ভাগ রোগী সন্তোষজনক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে রোগকে। দিন-রাতে উপসর্গগুলো আর থাকে না। ওষুধও তেমন লাগে না। সক্রিয়, সজীব জীবন যাপন করতে পারে। ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হয় স্বাভাবিক। এর আক্রমণও হঠাৎ ঘটে না। হাঁপানি হলে রোগীর মধ্যে বারবার দেখা যায় ও শোনা যায় বুকে শনশন শব্দ আর শ্বাসকষ্ট, বুক আঁটসাঁট হয়ে যাওয়া, কফ-কাশ, বিশেষ করে রাতে বা খুব ভোরে।

বায়ুপথে প্রদাহ হয়ে বিকল হয়ে যায়-রোগটি হলো ক্রনিক। ক্রনিক প্রদাহজনিত বৈকল্য হলো হাঁপানি, এই প্রদাহ হয় বায়ুপথে। বায়ুপথগুলো তখন হয়ে ওঠে প্রচণ্ড সংবেদনশীল। বায়ুপথ হয় রুদ্ধ, বায়ু চলাচল হয় খুবই কম। বায়ুপথের একটি অংশ ক্লোমনালি হয় সংকুচিত, শ্লেষ্মা জমে পথ হয় রুদ্ধ, প্রদাহ তখন একে আরও জটিল করে তোলে। বিভিন্ন ঝুঁকি-উপাদানের মুখোমুখি রোগ হয়ে ওঠে প্রবল।

সাধারণ ঝুঁকিগুলো হলো
এলার্জেনের মুখোমুখি হওয়া, যেমন-ঘরের ধুলা ও ময়লা, পোকা-কীট, পশুর রোম, তেলাপোকা, পরাগরেণু ও ছত্রাক।
অন্যান্য ঝুঁকি হলোঃ পেশাগত উত্তেজক পদার্থ, সিগারেটের ধোঁয়া, শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাল রোগ, তীব্র আবেগ, রাসায়নিক উত্তেজক পদার্থ এবং ওষুধ (যেমন এসপিরিন ও বিটাব্লকার ওষুধ)। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা এবং তা বজায় রাখার জন্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয় ধাপে ধাপে। এতে চিকিৎসা হয় নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দিকে নজর দিতে হয়, চিকিৎসার খরচও বিবেচ্য বিষয়।

এ জন্য ব্যক্তিপর্যায়ে, পরিবার ও সমাজের ওপর এর বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। এ রোগের নিয়ন্ত্রণ তেমন হচ্ছে না তা বলা বাহুল্য। হাঁপানির সঠিক দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনা না হলে নিয়ন্ত্রণ ভালো হয় না। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় গুরুতর হাঁপানি হয়ে হাসপাতালবাস, জরুরি চিকিৎসাকেন্দ্রে গমন, জরুরি পরিচর্যা হচ্ছে অনেকেরই। নিয়ন্ত্রণ ভালো না হওয়ায় অনেকের জীবনযাপন হচ্ছে সীমিত। এই নিয়ন্ত্রণ অর্জনের পথে বাধাগুলো হলো, অনেকের হাঁপানি নির্ণয় হচ্ছে না, ওষুধ ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। কোনো কোনো অঞ্চলে হাঁপানির ওষুধও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। অনেকের চিকিৎসা ঠিকমতো হয় না, অনেক অঞ্চলে মানুষ স্বাস্থ্য-পরিচর্যার আওতায়ও নেই। অনেকের হাঁপানি রোগ, এর নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ব্যবহারবিধি, কখন সহায়তা ও পরামর্শ নিতে হবে-এসব সম্পর্কে ধারণাই নেই। নিয়ন্ত্রণকে উন্নত করার জন্য শ্বাসের সঙ্গে স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহার অনেক দেশে বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে।

অনেক দেশে ‘জাতীয় হাঁপানি অভিযান’ হাঁপানি রোগে রুগ্‌ণতা ও মৃত্যু অনেক হ্রাস করেছে। হাঁপানির রয়েছে কার্যকর চিকিৎসা। সঠিক রোগ নির্ণয়, হাঁপানি সম্পর্কে সচেতনতা ও চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক রোগী নিজেরাই রোগকে আনতে পারবে নিয়ন্ত্রণে। 

সমস্যাঃ

 আমার মেয়ের নাম মাইয়েশা। তার বয়স চার বছর। দেড় বছর ধরে তার নাক বন্ধ থাকে ও নাকে ঠান্ডা থাকে। সে মুখ হাঁ করে ঘুমায়, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে ও শ্বাসকষ্ট হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ দেখালে তিনি নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞকে রেফার করেন। এক বছর আগে নাক-কান-গলার চিকিৎসককে দেখালে তিনি নাকের পেছনে ‘এনলার্জড এডিনয়েড’ রোগ হয়েছে বলে নির্ণয় করেন ও অপারেশন করাতে বলেন। আমরা অপারেশন করাইনি। তিন মাস ধরে মাইয়েশার ডান কানে মাঝেমধ্যে ব্যথা হচ্ছে এবং সে কানে কম শুনছে। একজন ইএনটি সার্জন এবার মাইয়েশাকে দেখে তাড়াতাড়ি এডিনয়েড অপারেশন করাতে ও কানে একটি টিউব বসিয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা অপারেশন না করালে আমাদের রোগীর কোনো অসুবিধা হবে কি? সুচিকিৎসার পরামর্শ দিলে বাধিত থাকব।

পরামর্শঃ

 আপনার মেয়ে এনলার্জড এডিনয়েড সমস্যায় ভুগছে বলে মনে করা যায়। সেই সঙ্গে তার ডান দিকের মধ্যকর্ণে ইফিউশন বা রসজাতীয় পদার্থ জমেছে বলেও ধরে নেওয়া যায়। এডিনয়েড নাকের পশ্চাদ্‌ভাগ ও গলার উপরিভাগের সংযোগস্থলে একখণ্ড নরম মাংসপিণ্ডের মতো লিমপয়েড গ্রন্থিবিশেষ। এই গ্রন্থি সাধারণভাবে শিশুর দুই বছর থেকে আকারে বৃদ্ধি পাওয়া আরম্ভ করে, সাত বছর বয়সে সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে আর ১৪ বছর বয়সের পর তা ছোট হয়ে যায়। নাকের পেছনে সব শিশুরই এডিনয়েড থাকে অথচ তা ছোট আকারের হওয়ায় তাদের নাক ও কানে সমস্যা হয় না। শুধু যেসব শিশুর এডিনয়েড বেশি বড় আকারের হয়ে নাকের পেছনের বায়ুপথ বন্ধ করে ও যাদের এডিনয়েডের বারবার প্রদাহ হয়, তারা নাক ও কানের কষ্ট এবং বধিরতায় ভোগে। ন্যাজোফেরিংসের একটি এক্স-রে করলে এডিনয়েড বড় হয়েছে এবং কানের একটি ইমিপিডেল টেস্ট করলে মধ্যকর্ণে রস জমেছে বোঝা যায়। এডিনয়েড এনলার্জড হলে তা সার্জারি করে সরিয়ে ফেলতে হয়। তাই দেরি না করে আপনার কন্যার এডিনয়েড অপারেশন এবং এর সঙ্গে মধ্যকর্ণের রস বের করার অপারেশন মাইরিংগোটমি করা দরকার। কানের রস যদি ঘন বা আঠালো হয়, তাহলে গ্রোমেট নামের একটি টিউব বসিয়ে দিতে হবে কানের পর্দায়। এই সার্জারির সময় গলার টনসিল বড় দেখা গেলে তাও অপারেশন করতে হবে।


এনলার্জড এডিনয়েডের সুচিকিৎসা না হলে শিশুর নাক ও কানের প্রদাহ এবং বধিরতা বৃদ্ধি পাবে। এই বধিরতা তীব্র ও অনিরাময়যোগ্য হতে পারে। এ ছাড়া এনলার্জড এডিনয়েড রোগে আক্রান্ত শিশুর মধ্যে স্থূলবুদ্ধিতা বা নির্বোধ ভাব লক্ষণীয় হতে পারে। ক্ষীণ বায়ুপথ, খারাপ অঙ্গসংস্থিতি অথবা বধিরতার জন্য এমন ভাব দেখা দিতে পারে। এডিনয়েডের জন্য অনেক শিশুর ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়ার সমস্যা বা ্লিপ এপনিয়া হতে পারে। তাই এডিনয়েড বৃদ্ধি পেলে এসব জটিলতা ও ক্ষতি এড়াতে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো দ্রুত অপারেশন করিয়ে নেওয়াই উত্তম।

My Blog List

Followers

About

Herbal for safe better-health

Right medicine, right food makes happy life

Popular Posts

Blog Archive

Traffic

Flag Counter