Tuesday, November 7, 2017

গর্ভকালীন সাধারণ সমস্যা


মা হওয়ার সময় একটি মেয়ের শরীর মনে ঘটে নানা স্বাভাবিক পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া। প্রায় প্রতিটি মেয়েরই এমন কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, যা সহজে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চাই কিছু বাড়তি যত্ন। চলুন জেনে নিই এমন পাঁচটি পরিচিত সমস্যার কথা।
সকালে

সকালবেলা বিছানা ছাড়ার পরই প্রচণ্ড বমি ভাব, বমি, মাথা ঘোরাএই উপসর্গের নাম মর্নিং সিকনেস। প্রথম সন্তান ধারণের সময় এটি বেশি হয় এবং দেখা দেয় প্রথম দ্বিতীয় মাসেই, তিন মাসের পর সাধারণত সেরে যায়। ২৫ শতাংশ নারীর এই সমস্যা একেবারে নাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় রক্তে কিছু হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই এর কারণ।

মর্নিং সিকনেস থেকে রক্ষার উপায়

. সকালে একবারে বেশি কিছু না খেয়ে অল্প অল্প করে শুকনো খাবার, যেমন টোস্ট বিস্কুট আমিষসমৃদ্ধ খাবার খান।
. তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, যে খাবার দেখলে বা খেলে বমির উদ্রেক হয় তাও এড়িয়ে চলুন।
. চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে পারেন।
. অতিরিক্ত বমি হলে বা পানিশূন্যতা বা লবণশূন্যতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

পায়ে পানি আসা

গর্ভাবস্থায় পায়ে অল্প পানি জমাটা স্বাভাবিক। জন্য আতঙ্কিত হওয়ার বা চিকিৎসা নেওয়ারও কিছু নেই।
. বেশিক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকবেন না, পায়ের নিচে মোড়া বা টুল দিন।
. খাবারে অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন।
. বিশ্রাম বা ঘুমের সময় পায়ের নিচে বালিশ দিতে পারেন।
. পা অনেক বেশি ফুলে গেলে, যদি দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে, মাথা ব্যথা হয় বা রক্তচাপ বেড়ে যায় তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

কোমর ব্যথা

৫০ শতাংশ মেয়ে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়। ওজন বৃদ্ধি অস্থিসন্ধির শিথিলতা এর জন্য দায়ী। তবে উঁচু হিলের জুতা পরা, প্রস্রাবে সংক্রমণ বা কোষ্ঠকাঠিন্যও এর কারণ হতে পারে। পা উঁচু করে বিশ্রাম নিলে কিছুটা আরাম পাবেন। সঠিক ভঙ্গিতে শোয়া বা বসা, শক্ত বিছানা ব্যবহার করা, কোমরে মালিশ বা সেঁক এবং বেশি ব্যথা হলে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন।

ঘন ঘন প্রস্রাব

থেকে ১২ সপ্তাহে এই বিরক্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। জরায়ুর আকার বড় হওয়ার কারণে মূত্রথলিতে চাপ দেয় বলে এমন ঘটে। ১২ সপ্তাহের পর সেরে গেলেও শেষ দিকে শিশুর মাথা নিচে নামতে শুরু করলে মূত্রথলিতে চাপ দিলে আবার দেখা দেয়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা তলপেটে ব্যথা না থাকলে নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

পেট শক্ত হয়ে আসা


মাঝেমধ্যে পেশির সংকোচনের জন্য পেট শক্ত হয়ে আসে। সাধারণত ব্যথা থাকে না এবং একটু পর নিজেই চলে যায়। তবে ব্যথা যদি থাকে তীব্রতা বাড়তে থাকে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রস্রাবে সংক্রমণ থাকলে চিকিৎসা করুন।

0 comments:

Post a Comment

Thank you for viewing our site, stay with us,comment and share if you like our contents.

My Blog List

Followers

About

Herbal for safe better-health

Right medicine, right food makes happy life

Popular Posts

Blog Archive

Traffic

Flag Counter