Tuesday, October 10, 2017



শিশুর যত্ন নিতে হয়। সুস্থ, স্বাভাবিক শিশুর দৈহিক বাড়নে, মানসিক বিকাশে। তবু তার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আছে। আর যে শিশু অসমর্থ শারীরিক বা মানসিক গঠনে, তার জন্য যত্নের প্রধান বিষয়গুলো তো থাকছেই। সঙ্গে আলাদা কিছু পরিচর্চার কথা মাথায় রাখতে হবে, যেমন বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ বা বিশেষ কোনো রকমের মেডিকেল চিকিৎসা।
যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে
শিশুর বয়স যা-ই হোক না কেন বা তার শারীরিক সক্ষমতা—সব মা-বাবাকে এসব বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।
আপনার শিশুর জন্য পরিবারের সুবিধা মিলিয়ে কোনো ধরনের যত্ন সর্বাপেক্ষা উপযোগী—নার্সারি বা স্কুল-পরবর্তী সময়ে।
শিশুর কোন কোন যত্নের দিকে নজর দিতে হবে। আপনার নির্বাচিত শিশু যত্নকারী কি এসব যত্ন নিতে সক্ষম? যার হাতে শিশু যত্ন পাবে, বা যেখানে শিশু থাকছে তা কি নিরাপদ? শিশু কি তা পছন্দ করছে?
শিশু পরিচর্চাকারী কি এসব যত্ন দিতে সমর্থ? তার অভিজ্ঞতা কেমন?
শিশুর জন্য কী কী বিশেষ যত্ন দরকার? বিশেষ প্রশিক্ষণ, থেরাপি—এসব কি ওই পরিবেশে আছে?
সেরা যত্ন বেছে নিন
আপনিই আপনার শিশুকে সবচেয়ে ভালো জানেন। তার জন্য সেরা যত্ন কীভাবে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে এসব বিবেচনায় নিতে হবে।
যেখানে শিশুর যত্ন নির্ধারণ করেছেন, সেখানে যত্নকারীদের আপনার শিশুর পছন্দ-অপছন্দ, প্রয়োজন, ওষুধপথ্য—সব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বুঝিয়ে দিন।
সময় পেলে দিনে একাধিকবার নার্সারি বা কেয়ার সেন্টারে গিয়ে তদারক করে আসুন। বোঝাপড়ার মাধ্যমে এমন সময় ঠিক করুন, যখন শিশুকে ওখানে ছেড়ে আসার আগে সব ঠিকঠাক আছে, এরূপ নিশ্চিত হতে পারেন।
শিশুর মেডিকেল সাহায্য
শিশুকে যিনি দেখাশোনা করছেন, আপনার শিশুর যদি কোনো ওষুধ, ইনজেকশন প্রয়োজন হয়, তবে তাতে তার ট্রেনিং আছে কি না পরখ করে নিতে হবে। শিশু নতুন কোনো সেন্টারে পরিচর্যার জন্য ভর্তি হলে সেখানেও এই ক্ষমতা শিশু যত্নকারীর আছে কি না, তা যাচাই করে নিতে হবে।
আগেভাগে স্কুলশিক্ষা
তিন বছরের বড় যেকোনো শিশু খণ্ডকালীন সময়ের পাঠ গ্রহণ করতে পারে। পুরোপুরিভাবে স্কুল কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার আগে এ রকম ব্যবস্থা অবলম্বন করা যায়। পুরোটা সময় শিশুকে ডে কেয়ার সেন্টারে দিয়ে দেওয়ার বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আর্থিক সংগতি বিবেচনায় রাখতে হবে।
ডে. নার্সারি
স্থানীয়ভাবে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নার্সারি স্কুল কার্যক্রম শুরু করা যায়। সমাজহিতৈষীরা এসব জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিতে পারেন।
প্রি-স্কুল বা প্লে গ্রুপ তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে এসব প্রতিবন্ধীর জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা যায়। প্রতিদিনের সেশন সাধারণত আড়াই থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
স্কুল ক্লাব
এটি হলো স্কুল সময় ছাড়াও শিশুকে পরিচর্যার অন্য মাত্রা। ব্রেকফাস্ট ক্লাব সময় সকাল আটটা দিয়ে শুরু করা যায়, অথবা স্কুল কার্যক্রমের শেষে, সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
শিশুযত্নকারীর প্রতিষ্ঠানে
অসমর্থ শিশুযত্নকারী তার নিজস্ব ভবনে এই শিশুর যত্ন নেবেন। তবে তিনি এসব বিষয়ে ট্রেনিংপ্রাপ্ত কি না, তা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
ঘরে শিশুযত্ন
কোনো কোনো দেশে শিশুর নিজের ঘরে এসে শিশু যত্নকারী দায়িত্ব পালন করে যান। এ ধরনের রেজিস্টার্ড শিশু যত্নকারী গড়ে তোলা হচ্ছে।
স্কুল-পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের শিশুযত্ন
স্থানীয়ভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে এ সময় শিশুকে দেখভালের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তার খোঁজ রাখতে হবে।
আহ্বান
অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিশুযত্নকারীর প্রতি যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তার মধ্যে প্রধান দুটো দায়িত্ব হলো, অসমর্থ বা প্রতিবন্ধী শিশুকে যেন কম দায়িত্বপূর্ণ বা অবহেলায় দেখা না হয়। অক্ষম শিশুসন্তানের জন্য যতটা সম্ভব সহায়তাদানের মনোবৃত্তি যেন থাকে।

0 comments:

Post a Comment

Thank you for viewing our site, stay with us,comment and share if you like our contents.

My Blog List

Followers

About

Herbal for safe better-health

Right medicine, right food makes happy life

Popular Posts

Blog Archive

Traffic

Flag Counter